দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের কথা মনে আছে (Murder)! তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনওয়ালা তাঁকে খুন করে (Murder) শরীরের ৩৫টা টুকরো করেছিল। তারপর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছুঁড়ে ফেলেছিল। এবার দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া ঝাড়খণ্ডে (Murder)। লিভ ইন সঙ্গীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন (Murder)। প্রেমিক তরুণীকে খুন করে তাঁর দেহ ৪০ থেকে ৫০ টুকরো করে (Murder) ফেলে আসে জঙ্গলে ফেলে আসে পশুদের জন্য।
ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বুধবার ঝাড়খণ্ড পুলিশ ঘটনায় বছর পঁচিশের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবক ৮ নভেম্বর তাঁর লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে। খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণও করে যুবক। এরপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে অভিযুক্ত। জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে সেই টুকরো ফেলে এসেছিল যাতে পশুরা সেই মাংস খেয়ে নেয় এবং প্রমাণ লোপাট হয়ে যায়।
গত ২৪ নভেম্বর জোরদাগ গ্রামের কাছে একটি পথকুকুরের মুখে টুকরো করা দেহাংশ দেখে গ্রামবাসী। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশে খবর দেন। এরপরই জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে যুবতীর দেহের টুকরো উদ্ধার হয়। একটি ব্যাগও উদ্ধার হয়। তার ভিতরে থাকা আধার কার্ড থেকেই মৃতার পরিচয় জানা যায়। এরপর সূত্র ধরেই অভিযুক্তের কাছে পৌঁছয় পুলিশ।
জেরায় জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীও ঝাড়খণ্ডেরই বাসিন্দা। অভিযুক্তের সঙ্গে তামিলনাড়ুতে তাঁর পরিচয় হয়। কয়েক বছর ধরে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। সম্প্রতিই ওই যুবক ঝাড়খণ্ডে ফেরেন এবং অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পর আবার তামিলনাড়ুতে ফিরে যান এবং লিভ ইন সঙ্গীকে কিছু না জানিয়ে তাঁর সঙ্গেই থাকতে শুরু করে। তবে বেশিদিন সত্যিটা গোপন করতে পারেনি অভিযুক্ত। বিষয়টি জানতে পেরেই ঝাড়খণ্ডে ফিরে আসে যুবতী। অভিযুক্ত যুবকও সঙ্গে আসে।
নিজের বাড়িতে নিয়ে যাবে বললেও, অভিযুক্ত ওই যুবতীকে জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এরপর গলার ওড়না পেঁচিয়ে যুবতীকে খুন করে। অভিযুক্তের সঙ্গেই মাংস কাটার ছুরি ছিল। সেই ছুরি দিয়ে যুবতীর দেহের ৪০-৫০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তামিলনাড়ুতে মুরগির মাংসের দোকানে কসাই হিসাবে কাজ করত। সেই কারণে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করতে বেশি বেগ পেতে হয়নি। জেরায় লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করে টুকরো করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত।