ইসকনের বাংলাদেশ (Bangladesh) শাখার সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে (Bangladesh) নিহত আইনজীবীর শেষ যাত্রায় সামিল হয়ে ইসকন এবং বাংলাদেশি (Bangladesh) হিন্দুদের উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা সারজিস আলম। তিনি (Bangladesh) ইসকন অনুগামী হিন্দুদের উগ্রবাদী বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, গোটা বাংলাদেশ থেকে উগ্রবাদী হিন্দুদের উৎখাত করা হবে।
এদিন (Bangladesh) সারজিস আলম জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি ইসকনকে হাতের ময়লা বলে উল্লেখ করেন। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারজিস আলম বলেন, “আমরা হাসিনাকে দেশ ছাড়া করেছি। এমন ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্যে হাতের ময়লা। সরজিস এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘তাদের চরিত্র কী! তারা কীভাবে মানুষকে জবাই করে, এই দৃশ্য আমরা দেখেছি। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, তাদেরকে যদি গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া হয়, তাহলে পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা একসাথে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে।”
বাংলাদেশী হিন্দুদের উগ্রবাদী বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “বলেন, ‘এই বাংলাদেশের মুসলিমরা শান্তিপ্রিয়। এই দেশের মুসলিমদের অন্য ধর্মের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু এই সহানুভূতিকে ব্যবহার করে কেউ যদি ভারতের চক্রান্ত… যারা মাসের ৩০ দিনের ২৫ দিন দেহটা নিয়ে এই বাংলাদেশে বসে থাকে, আর বাকি পাঁচদিন মনটা নিয়ে ভারতে যায়, সেখানে চক্রান্ত করে। এবং সেই চক্রান্ত এখানে এসে ঘটায়। এই সকল উগ্রবাদী হিন্দুদেরকে প্রতিহত করার জন্যে আমাদের মনে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি থাকবে না। আমরা অনেক সহ্য করেছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে অনেক উদারতা দেখিয়েছি। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে কাদের মন সবচেয়ে বেশি খারাপ হয়েছে। তাই আমাদের সহানুভূতিকে দুর্বলতা মনে করলে গোটা বাংলাদেশ এই সকল উগ্রপন্থীদের প্রতিহত করবে। ইসকনের নামে যে সব উগ্রপন্থীরা বিগত ১৬ বছরে অসংখ্য অপকর্ম ঘটিয়েছে… আওয়ামি লিগ তাদের মর্থন করেছে। আমরা সকল উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে।’”