শুক্রবার সন্ধ্যায় বেলঘড়িয়ার (Belgharia) কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কিন্তু তারপরেও (Belgharia) এই মহিলার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ থানায় দায়ের করা হয়নি। ঘটনার (Belgharia) পরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, ওই মহিলার শাশুড়ি বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর বৌমা আগেও একাধিকবার পুড়ে মরার চেষ্টা করেছিলেন (Belgharia) । পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যখন তাঁর বৌমাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন তাঁর ছেলে অফিসে ছিলেন।
ওই মহিলার শাশুড়ি বলেন, চিপস কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর এই ঘটনা ঘটেছে। বেলঘরিয়ার আর্যনগর এলাকায় এক মহিলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওই মহিলা বেলঘরিয়ায় বাজারে যাচ্ছিলেন সেই সময় তাঁর স্বামী এবং তাঁর আরও দুই বন্ধু মিলে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বাড়ি থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তিনি আত্মীয়ের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেন স্বামী। পিছন ঘুরতে স্বামীর মুখটাই শুধু দেখতে পেয়েছিলেন স্ত্রী। বেলঘরিয়া কামারহাটি পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কীভাবে ভর সন্ধেয় এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। জানা গিয়েছে, গৃহবধূর বাড়ি খড়দায়। তিনি বেলঘড়িয়ার আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। জানা গিয়েছেন, বেলঘড়িয়ায় তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন বলে স্বামী হত্যার ছক কষেন।
লিশ সূত্রের খবর, বেলঘরিয়ায় স্বামী–সহ তিনজন এসে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেশলাই কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। ওই মহিলা তীব্র চিৎকার করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনে ছুটে আসেন। মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। প্রথমে ওই মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলার অবস্থা গুরুতর। তিনি জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। বর্তমানে স্বামী ও তাঁর বন্ধুরা ফেরার। অভিযুক্তদের খুঁজতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনায় শহর কলকাতায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।