বাংলাদেশে (Bangladesh) রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ শান্তি সেনা পাঠানো হোক বলে সওয়াল করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সকালে (Bangladesh) এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। কিন্তু ১২ ঘণ্টা কাটার আগেই বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে উত্তর এল। ইউনুস সরকারের (Bangladesh) বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন।
বাংলাদেশে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৌহিদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনের বক্তব্য হিসাবেই দেখতে চাই।’ একইসঙ্গে তৌহিদের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এমন বক্তব্য দিলেন আমরা জানি না। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি তাঁর রাজনীতির জন্য বিষয়টি ঠিক নয়। পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে আমরা স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখতে চাই।” বিধানসভায় বাংলাদেশ ইস্যুতে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “’আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্র রাষ্ট্রসংঘের কাছে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আবেদন জানাক। বাংলাদেশ নিয়ে সংসেদ বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী। যদি তাঁর অসুবিধা থাকে তাহলে বিদেশমন্ত্রী বিবৃতি দিন।’ এদিকে, ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের অফিসে বিক্ষোভকারীদের ঢুকে পড়া নিয়েও সরব হয়েছে ঢাকা। এর আগে, বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীক গ্রেফতারি ও হিন্দুদের ওপর ঘটে চলা হিংসার ঘটনা নিয়ে সরব হয় ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি।”
অন্যদিকে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের অফিসে ঢুকে পড়ে বলে খবর। তা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে, ঘটনাক নিন্দা করেছে দিল্লিও। দিল্লির তরফে বাংলাদেশকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে ভারতীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয়েই চলেছে। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার বা কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে কেউ মন্তব্য করলেও এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে এই বিষয়ে কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।